শেরপুরে সাংবাদিকের কারাদণ্ড, অনুসন্ধান শেষ করেছে তথ্য কমিশন

0

শেরপুরের নকলা উপজেলায় দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনার অনুসন্ধান শেষ করেছে তথ্য কমিশন।  

তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম গতকাল সোমবার দুপুরে এ কার্যক্রম শেষ করে ঢাকায় ফেরেন।

দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তাকে তথ্য না দিয়ে উল্টো দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে তথ্য অধিকার আইনের ধারা ২৫(৫) অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম সোমবার সকালে জেলা কারাগারে যান এবং কারাবিধি অনুযায়ী সেখানে আটক সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে তিনি (তথ্য কমিশনার) দ্বিতীয় দফায় কথা বলেন। এরপর তথ্য কমিশনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ডিসি আবদুল্লাহ আল খায়রুমের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের জবানবন্দি নেন। এরপর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তথ্য কমিশনার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে রবিবার দিনভর অনুসন্ধানের প্রথমদিন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম, সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা, তার স্ত্রী বন্যা আক্তার, ছেলে শাহরিয়ার জামান, নকলার ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তথ্য কমিশনার শহীদুল বলেন, ঢাকায় ফিরে এ বিষয়ে প্রতিবেদন তথ্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার নথির ‘নকল কপি’ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার পরিবারের পক্ষে দেশ রূপান্তরের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি মো. শফিউল আলমের কাছে দেওয়া হয়েছে।

শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার আইনজীবীর মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার অনিন্দিতা রানী ভৌমিক বলেন, সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার নথির ‘নকল কপি’ সোমবার সন্ধ্যায় সরবরাহ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here