ভৈরবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মামলা, আরো ৩ লাশ উদ্ধার

0

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলার ডুবির ঘটনার তৃতীয় দিনে আরও তিনজনের লাশ ও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।

যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)। স্বজনরা তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক উবায়েদুল করিম খান জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি দীর্ঘ চেষ্টার পর রবিবার বেলা ১২ টার দিকে মেঘনার পাড়ে  তোলা হয়েছে।  দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামে পর্যটকবাহী একটি ট্রলার বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। ঘটনার দিন একজনের এবং পরদিন দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ভৈরব পৌরসভার কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম (৩৫), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী (২৫) ও ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দের কন্যা আরাধ্যা দে (১২)। 

তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার ছেলে রাইসুল (৫) ও কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।

এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় অভিযুক্ত বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের বিরুদ্ধে ভৈরব নৌ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, অজ্ঞাতনামা সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here