ধান ক্ষেতে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর

0

বলরামপুর। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি গ্রাম। এই গ্রাম ফল ফসলে সমৃদ্ধ। নানা ধরনের ফসলে সারা বছর মাঠ জমজমাট থাকে। এবছর ধান ক্ষেতের মাঝের একটি জমিতে আঙুরের চাষ করা হয়েছে। থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ আঙুর। আঙুরের জমি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন।

স্থানীয় ও কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, বলরামপুর গ্রামের উদ্যোমী কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। তিনি কখনও হলুদ তরমুজ। কখনও সাম্মাম চাষ করেন। ব্যতিক্রম ফসল চাষ করে তিনি সফলও হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৪শতক ধানি জমি একটু উঁচু করার পর আঙুর চাষ শুরু করেন। কয়েক মাস আগে তিনি প্রবাসে গমন করেন। তার আরেক ভাই কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন নার্সারির ব্যবসা করেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় দিঘিরপাড় টিআইকে মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক। আনোয়ারের অনুপস্থিতিতে খোকন বাগানটি পরিচর্যা করছেন।

কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন বলেন, আমার নার্সারিতে কিছু আঙুর গাছ ছিলো। গত বছর দুইটি গাছ থেকে ১৭ কেজি আঙুর পাই। আঙুর মিষ্টি ও স্বাদ ভালো। গত বছর আমার ছোট ভাই আনোয়ার আঙুর বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন। তার এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তার চাষ দেখে অনেকে প্রথমে হাসাহাসি করেছেন। কেউ কেউ পাগল বলেছেন। এখন ফলন দেখে তারা আঙুর চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রথম বছর অল্প কিছু ফল আসে। এবার ভালো ফলন এসেছে। আশা করছি সামনের বছর এই ফলন আরো বাড়বে। একই গাছ থেকে কয়েক বছর ফল আসবে বলেও তিনি জানান।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ফল ফসলে বৈচিত্র্যময় কুমিল্লা। এখানে ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা রয়েছেন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের উদ্যোক্তা আনোয়ার ও খোকন পরিশ্রমী। তার মধ্যে খোকন কলেজ শিক্ষক। তাদের আঙুর চাষের উদ্যোগটি সাহসী ও ব্যতিক্রম। তাদের সফলতা দেখে অন্য উদ্যোক্তারাও উদ্বুদ্ধ হবেন। আমরা পরামর্শ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি। ফলন পাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারবো তারা কেমন সফল হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here