আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরুতেই জালের দেখা পেল লিভারপুল। এগিয়ে গিয়ে আরও চাপ বাড়ায় তারা; কিন্তু তাদের আর কোনো প্রচেষ্টাই খুঁজে পাচ্ছিল না ঠিকানা। আক্রমণগুলো একের পর এক মুখ থুবড়ে পড়ছিল বার্নলি গোলরক্ষক জেমস ট্র্যাফোর্ডের সামনে। পোস্টও পথ আগলে দাঁড়াল। তবে শেষ পর্যন্ত জাল অক্ষত রেখে ঠিকই স্বস্তির জয় তুলে নিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল, উঠে এলো লিগ টেবিলের শীর্ষে।
বার্নলির মাঠে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। দারউইন নুনেস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো জটা। টানা দুই ম্যাচ ড্রয়ের পর লিগে জয়ে ফিরল লিভারপুল। ১৯ ম্যাচে ১২ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে ‘অলরেড’ খ্যাত দলটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে।
চার মিনিট পর লিভারপুলের পথ আগলে দাঁড়ায় ক্রসবার। জো গোমেসের লং পাস পেয়ে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে শট নেন সালাহ। ট্র্যাফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে বল ক্রসবারের উপরের দিকে লেগে বাইরে যায়। লিভারপুলের পোস্টে বিরতির আগে কোনো শটই নিতে পারেনি বার্নলি। রক্ষণ সামলাতেই যে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ছিল তাদের। ৩৯তম মিনিটে আবারও স্বাগতিকদের ত্রাতা ট্র্যাফোর্ড। এবার ওয়াতারু এন্দোর নিচু শট কোনোমতে ঝাঁপিয়ে আটকান ২১ বছর বয়সী ইংলিশ গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধেও বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলতে থাকে লিভারপুল। ৫৫তম মিনিটে সতীর্থের আড়াআড়ি পাসে হার্ভি এলিয়ট নিখুঁত প্লেসিং শটে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে বল জড়িয়ে উল্লাসে মাতেন, কিন্তু ভিএআরে ধরা পড়ে আগেই অফসাইডে ছিলেন সালাহ। সমতায় ফেরার প্রথম ভালো সুযোগটি বার্নলি নষ্ট করে ৬৭তম মিনিটে। উইলসন ওডোবের্ট দুই জনকে কাটিয়ে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান; দূরের পোস্ট থেকে ইয়োহানের হেড যায় বাইরে। আইসল্যান্ডের এই মিডফিল্ডারের মতোই ডাগআউটে কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানিকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
৭৪তম মিনিটে দমিনিক সোবোসলাইয়ের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। চার মিনিট পর নুনেসের প্রচেষ্টা এবং ৮৭তম মিনিটে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের শটও পা দিয়ে আটকান ট্র্যাফোর্ড। ৯০তম মিনিটে ট্র্যাফোর্ড আর পারেননি। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বের হতে না পেরে ব্যাক হিলে লুইস দিয়াস বল বাড়ান জটাকে। দুরূহ কোণ থেকে দারুণ শটে জয় নিশ্চিত করেন ছয় মিনিট আগে নুনেসের বদলি নামা এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।