মা-বাবাকে নিয়ে পবিত্র ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা। আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের অভ্যর্থনা জানান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নাজমুল হুদা ও বসুন্ধরা গ্রুপের ওমরাহ বিষয়ক সমন্বয়ক আমির হোসেন মিয়া।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেবের ঐকান্তিক ইচ্ছা ছিল দেশসেরা খুদে হাফেজদের পরিবারসহ ওমরাহ হজে পাঠানো। আজ সেই খুদে হাফেজরা ওমরাহ পালন করে ফিরলেন। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর ৩০০ জন সামর্থ্যহীন ব্যক্তিকে ওমরাহ হজ করানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটা কাফেলা হজ পালন শেষে ফিরেছেন। আজ ফিরলেন আরও ১০ জন।
ওমরাহ পালনের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিমানবন্দরে খুদে হাফেজরা বলেন, মা-বাবাকে নিয়ে পবিত্র হজে যেতে পারব তা কখনো ভাবতে পারিনি। তবে এটা ছিল স্বপ্ন। বসুন্ধরা গ্রুপের উছিলায় মহান আল্লাহ সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী আছে? এজন্য সৃষ্টিকর্তার দরবারে লাখো শুকরিয়া।
এদিকে সৌদি আরব থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের জন্য বিভিন্ন উপহার নিয়ে ফিরেছেন খুদে হাফেজরা। হাফেজ আবু তালহা উপহার হিসেবে এনেছেন জায়নামাজ, আতর ও খুরমা খেজুর। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বসুন্ধরার এমডি স্যারের সহযোগিতায় পরিবার নিয়ে নবীর দেশে যেতে পেরেছি। উনি খুব ভালো মানুষ। উনাকে উপহার দিতে এগুলো কিনেছি। আল্লাহর কাছে উনার নেক হায়াতের জন্য দোয়া করি।
সকালে বিমানবন্দরে কথা হয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’র বিজয়ীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারা বলেন, জীবনে কতবার প্রার্থনা করেছি নবীর দেশে যাওয়ার জন্য। আজ সন্তানের সফলতায় বসুন্ধরা গ্রুপের উছিলায় মহান আল্লাহ সেই আশা পূরণ করেছেন। এ আনন্দ বলে বোঝানোর মতো না।