১৩ বছর আগে যেভাবে উদ্ধার হয় এমভি জাহান মনির ২৫ নাবিক

0

বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর আগে এমভি জাহান মনি জাহাজ সাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। ১৩ বছর তিন মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই দুটি জাহাজ সশস্ত্র জলদস্যুরা দখলে নিয়ে ক্যাপ্টেনসহ নাবিকদের জিম্মি করার ঘটনা ঘটেছে। 

এর মধ্যে ১৩ বছর তিন মাস আট দিন আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সোমালি জলদস্যুরা এমভি জাহান মনির ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করেছিল। জলদস্যুরা সেটিকে ছয় দিন পর সোমালিয়ার উপকূলীয় এলাকা গারাকোডের কাছে নিয়ে গিয়েছিল।

সাত দিনের মাথায় জলদস্যুরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে মালিকপক্ষের কথা বলিয়ে দেয়। আলোচনার পর ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দর-কষাকষি শেষ হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি জিম্মি মুক্তির বিষয়ে চুক্তি হয় জলদস্যু প্রতিনিধির সঙ্গে। এর ১৪ দিনের মাথায় জলদস্যুরা ২৫ নাবিককে জাহাজসহ ছেড়ে দেয়।

২০১১ সালের ২১ মার্চ ওমান এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম পৌঁছান এমভি জাহান মনির নাবিকরা। তবে মুক্তিপণ লেনদেনের বিষয়ে কোনো তথ্য আজও জানা যায়নি।

জানা যায়, ওই সময় কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) ব্রেভরয়েল শিপিংয়ের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম নাবিকদের উদ্ধারের জন্য জলদস্যুসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়েছিলেন।

মেহেরুল করিম বর্তমানে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের (কেএসআরএম গ্রুপ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনিই জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে প্রথম কথা বলেন।

নাবিকদের মুক্ত করার কাজটি এবারও তিনি দেখছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।

সর্বশেষ জিম্মি হওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম বলেন, ‘ক্যাপ্টেনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। তাঁরা সুস্থ আছেন। আগে সোমালি দস্যুরা যোগাযোগ করুক, এরপর বোঝা যাবে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এবারও বিভিন্নভাবে কথা বলতে হবে। সতর্কতার সঙ্গে আমাদের এগোতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here