সীমান্ত থেকে ৩ কোটি রুপি মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার

0

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে একদিনে দুটি পৃথক ঘটনায় ৩ কোটি রুপি মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ভারতীয় পাচারকারীকেও।

একটি ঘটনায় বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রণঘাট সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকা থেকে বিভিন্ন আকৃতির স্বর্ণের ২৪টি বার জব্দ করা হয়। অন্যদিকে, পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্ট (আইসিপি) থেকে দুইটি নলাকার আকৃতির স্বর্ণের পেস্ট উদ্ধার করা হয়।

বিএসএফ জানিয়েছে, রবিবার প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে চোরাচালানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্পর্শকাতর পেট্রাপোল আইসিপিতে। সীমান্তের পরীক্ষার সময় এক যাত্রীর শরীরের নিচের অংশে কিছু ধাতব পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করে বাহিনীর ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। এরপর তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপের জন্য টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কাছ থেকে পেস্ট আকারে স্বর্ণের দুটি নলাকার টুকরো উদ্ধার করা হয়, যা তার মলদ্বারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জওয়ানরা যাত্রীকে আটক করে ও স্বর্ণের টুকরো বাজেয়াপ্ত করে।

একই দিনে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বিএসএফের ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি রণঘাটে। স্বর্ণের সম্ভাব্য চোরাচালানের খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ওই এলাকায় অ্যামবুশ করে। পরিশেষে দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ এক সন্দেহভাজন চোরাকারবারীকে বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের দিকে আসতে দেখে। কিন্তু জওয়ানদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন চোরাকারবারী বাংলাদেশের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তড়িঘড়ি করে কোমর থেকে কাপড়ের একটি পুঁটলি খুলে পেছনের ঝোপে ফেলে দিয়ে কোদাইল্যা নদী পার হয়ে বাংলাদেশের দিকে পালাতে সক্ষম হয়। এরপর ঘটনার তালে অভিযান চালিয়ে কাপড়ের পুঁটলি থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

প্রথম ঘটনায় পেট্রাপোলে গ্রেফতার হওয়া যাত্রীর নাম মোহাম্মদ ইব্রান, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ফরি বাগান গ্রামে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ২৩ মার্চ পাসপোর্ট ও বিজনেস ভিসা নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকায় গিয়েছিল। সেখানেই শাব্বির নামে এক ব্যক্তি তার সাথে দেখা করে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে কিছু স্বর্ণের সামগ্রী আনার জন্য তাকে ১০ হাজার বাংলাদেশি টাকা প্রস্তাব দেয়। শাব্বির তাকে আরও জানান যে কলকাতা শহরে পৌঁছানোর পর তিনি কলকাতা শহরের এমজি রোডের কাছে অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে ওই স্বর্ণ তুলে দেবেন। ওই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় শাব্বিরের কাছ থেকে স্বর্ণের সামগ্রী সংগ্রহ করে ইব্রান। সেটি পাওয়ার পর, ওই স্বর্ণ তার শরীরের নিচের অংশে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু ঢাকা থেকে আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ জওয়ানরা তল্লাশির সময় তার দেহ থেকে স্বর্ণ উদ্ধার করে।

জব্দকৃত স্বর্ণ ও গ্রেফতারকৃত পাচারকারীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পেট্রোপোল কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here