‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে’

0

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে”। 

২০ মার্চ সোমবার বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার আয়োজিত ‘বাংলাদেশ: অ্যাচিভমেন্টস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ড. মোমেন আরো বলেছেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক দৃশ্যপটে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতিসাধিত হয়েছে’। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করার জন্য সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং সুদূরপ্রসারি কৌশলের কথা পুনর্ব্যক্ত করে ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বকে বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের কৃতিত্ব দেন।

একটি স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি, একটি সংযোগকারী হাব এবং একটি নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্যে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থনৈতিক সাফল্যের সেই পরিক্রমায় ড. মোমেন বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। 
উন্নয়নের রোডম্যাপকে আন্ডারলাইন করে মন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণার ভূমিকার ওপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল এবং তার বাইরের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে। আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অবদানের ওপর আলোকপাত করেন ড. মোমেন। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বিদ্বেষ নয়” অনুযায়ী এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়েও আলোকপাত করা হয়। পরিবর্তনশীল প্রতিকূলতা, মহামারীতে নিপতিত হওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনৈতিক, আর্থিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রভাব সম্পর্কেও খোলামেলা কথা হয় এ সময়।

অধিবেশন চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা মুক্তমনে খোল চিত্তে নানা ইস্যুতে কথা বলেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রসঙ্গও এতে স্থান পায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক, সেইসাথে সাধারণভাবে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক গতিশীলতার উপর একটি প্রাণবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের রাজাওয়ালি ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ার পরিচালক এবং অ্যাশ সেন্টারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক অ্যাথনি সাইচ স্বাগত বক্তব্য দেন এবং গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ সরকার এবং অ্যাশ সেন্টারের মধ্যে সহযোগিতা আগামী দিনে আরও সুসংহত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here