ঘন কুয়াশায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য অনুদান ঘোষণা করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে মন্ত্রণালয়।
ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ঘন কুয়াশার মধ্যে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে হরিনা এলাকায় বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে। ধাক্কায় মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায় জাকির সম্রাট-৩।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহতদের ঢাকায় আনার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহগুলো সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আনা হলে স্বজনদের আহাজারিতে সেখানে হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নিহত চারজনই ভোলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
নৌ উপদেষ্টা জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। তার ভাষায়, “যে লঞ্চ চালাচ্ছিল, তার কোনো দায় থাকতে পারে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টার আগে বাল্কহেড চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটিকে ঝালকাঠিতে জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লঞ্চটির চারজনকে আটক করা হয়েছে।

