রোপা আমনে রঙিন স্বপ্ন

0

কয়েক বছর আগেও বর্ষার পর মাদারীপুরের বিস্তীর্ণ জমি পড়ে থাকত অনাবাদি। ফাঁকা মাঠে জন্মাত আগাছা। চলতি মৌসুমে ওই সব জমিতে আবাদ হয়েছে রোপা আমন। রোপা আমনে এখন রঙিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। দিগন্তজুড়ে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করেছে অপরূপ দৃশ্য। প্রকৃতি যেন আমন মাঠে ছড়িয়ে দিয়েছে সবুজ। ধান গাছের সবুজ পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার রাজৈর, শিবচর, কালকিনি, ডাসার ও সদর উপজেলার মাঠে কোথাও ফাঁকা নেই। যতদূর যায় সবুজ আর সবুজ। সবুজে ঘেরা আমনের মাঠ পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। ফসল ভালো রাখতে ও উৎপাদন বাড়াতে আগাছা পরিষ্কার, পোকা ও ইঁদুর দমন ও সার ছিটানোর কাজ করছেন চাষিরা। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতকরা সাড়ে ৮ ভাগ জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে রোপা আমন। 

কৃষকরা বলছেন, রোপা আমন আবাদে তুলনামূলক খরচ কম। সেচ, সার, কীটনাশক কম লাগে। ফলে সম্প্রতি সময় কৃষকরা ঝুঁকছেন রোপা আমান চাষে। মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের কৃষক দুলাল হাওলাদার বলেন, এক সময় এই মৌসুমে জমি পড়ে থাকতো অনাবাদি। দিন দিন কৃষকরা আকৃষ্ট হচ্ছেন রোপা আমনের প্রতি। চলতি মৌসুমে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। সবমিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন জেলার কৃষকরা। ধানগাছ থেকে থোর বের হওয়া শুরু করেছে। 

কৃষক রাজ্জাক তায়ানী বলেন, ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড় তেমন না থাকায় কয়েকদিনেই ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে। মাঠজুড়ে শুধু সবুজ দেখা যায়। ফসলের এই রূপ দেখে মনে তৃপ্তি মিলছে। বাদশা মিয়া বলেন, মাঠজুড়ে ধানের সবুজ রং দেখলে মন ভরে যায়। আশা করছি এ বছর রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হবে। 

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়ায় রোপা আমনের আবাদ বেড়েছে। নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি অফিস। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালোভাবে বেড়ে উঠছে আমন খেত। এ বছর আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here