ভারতের সিনিয়র কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে এবার রাজ্যসভার প্রার্থী করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর রাজস্থান থেকে প্রার্থী করা হতে পারে ৭৭ বছর বয়সী সোনিয়াকে। এর পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ থেকেও তাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
বর্তমানে, তিনি উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হিসাবে কাজ করছেন। ২০০৬ সাল থেকে এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন সোনিয়া। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হতে চান না বলেই খবর। কারণ শেষবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন এবারই তার শেষ নির্বাচন।
সোমবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসায় গিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে সোনিয়া গান্ধীকে রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে আলোচনা হয়। এদিনের এই বৈঠকে খাড়গে ও সোনিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কে.সি বেনুগোপাল, দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন, সিনিয়র কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসানিক এর মত নেতারা।
সোনিয়া ছাড়া অভিষেক মনু সিংভি এবং অজয় মাকেন’এর মত সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদেরও রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হতে পারে বলে জানা গেছে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিং’কে এবার বিহার থেকে দলের প্রার্থী করা হতে পারে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের ১৫ টি রাজ্যের ৫৬ টি রাজ্যসভার আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কংগ্রেস তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। যদিও সূত্রে খবর আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই কংগ্রেস তাদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সোমবারই রাজস্থান কংগ্রেস শাখার পক্ষ থেকে সোনিয়া গান্ধীর কাছে আবেদন করা হয় তিনি যেন এবার ওই রাজ্য থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী হন। রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা টিকারাম টুলি দলের হাই কমান্ডের কাছে অনুরোধ পাঠিয়ে বলেন ‘আমরা দলের সভাপতি এবং হাই কমান্ডকে অনুরোধ জানিয়েছি দল যেন সোনিয়া গান্ধীকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী মনোনীত করে। সোনিয়া যদি এখান থেকে নির্বাচিত হয় তবে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা খুবই খুশি হবে। ‘
একইভাবে, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডিও গত সপ্তাহে সোনিয়া গান্ধীকে ওই রাজ্যের খাম্মাম আসন থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। রেভান্থ রেড্ডির অভিমত ছিল ‘সোনিয়া গান্ধীই তেলেঙ্গানাকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিলেন। তাই তাকে ‘তেলেঙ্গানার মা’ হিসাবে রাজ্যের মানুষ দেখতে চেয়েছিলেন।