যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি উপেক্ষা করে সম্পর্ক বাড়ানোর ঘোষণা ইরান-পাকিস্তানের

0

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকি উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্তকরণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে সহায়তা বৃদ্ধিসহ নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ ও তেহরান।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তিন দিনের পাকিস্তান সফরের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব দেশ ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

গত সোমবার ইসলামাবাদ সফরে যান রাইসি। চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন। গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামাবাদ সফরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন। ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ তারা এমন সত্তা ছিল, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

তবে ওয়াশিংটনের হুমকি খুব একটা আমলে নিচ্ছে না পাকিস্তান ও ইরানের সরকার। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উভয় পক্ষই দ্রুত এফটিএ চূড়ান্ত করতে, বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক পরামর্শ (বিপিসি) ও জয়েন্ট বিজনেস ট্রেড কমিটির (জেবিটিসি) পরবর্তী সেশনের পাশাপাশি শিগগির যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) ২২তম সভা আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে।

উভয় প্রতিবেশী ‘নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে’ সম্মত হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা 

 যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, যেসব দেশ ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here