মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সেবা প্রদানে যুক্ত হল এক্সপ্যাট সার্ভিস

0

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানামুখী সেবা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ বছরের ৫ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এম.পি। মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নসহ অন্যন্যা সেবা প্রদানে হয়রানি ও দালালমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন এক্সপ্যাট সার্ভিস সেনডিরিয়ান বারহাদ।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, শুরুতেই কল সেন্টার দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস ও পাসপোর্ট নেই এমন প্রবাসীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান। যা আগে সরাসরি হাইকমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হতো প্রবাসীদের।

তবে এক্সপ্যাট গ্রুপের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ প্রবাসীদের বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট সেবা যা এখনও শুরুর অপেক্ষায়। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্রান্ডিং পরিচালক, অভিনেতা এস এম আরমান পারভেজ বলেন, ই-পাসপোর্ট চালুর সব প্রক্রিয়া শেষ, অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক যাত্রার। এ মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এ সেবা চালু হবে বলে প্রত্যাশা আরমান পারভেজের।

তিনি বলেন, এক্সপ্যাট সার্ভিস প্রবাসীদের জন্য জালান চান সো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে ) প্রায় ১৪,০০০ বর্গফুট প্রশস্থ অন স্টপ সার্ভিস নিয়ে আসছে যেখানে একই সঙ্গে সব সেবা যুক্ত থাকবে। ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে চলবে এ সেবা। কোন প্রবাসী পাসপোর্ট করতে চাইলে ব্যাংক ড্রাফ্ট থেকে শুরু করে ফর্ম পূরণ পর্যন্ত সকল কাজেই সহযোগিতা করবে এখানকার কর্মীরা।

শুক্রবার প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন আরমান পারভেজ। পরে এক্সপ্যাট গ্রুপের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার মো. শামিম আহসান ও প্রবাসী সাংবাদিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময় এক্সপ্যাট সার্ভিসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়ার সভাপতি দাতু আব্দুর রউফ লিটনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আউটসোর্সিং কোম্পানি ESL কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে যেমন জহরবাহরু ও পেনাং-এ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবে। ESL পরিচালিত ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারটির সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় সরাসরি হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং সিসিটিভি-এর মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। উন্নত দেশসমূহের আদলে এ ধরনের আয়োজন প্রবাসে সেবা সহজতর ও দ্রুততর করবে এবং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন আনবে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here