মানসিক চাপ বিপৎসীমার ঊর্ধ্বে কি না বুঝবেন কীভাবে?

0

নানা কারণে মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পারিবারিক সম্পর্ক, অফিস, লেখাপড়া নিয়েও মানুষ দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এমন কোনো মানুষ নেই যার মানসিক উদ্বেগ নেই। কমবেশি স্ট্রেসের মোকাবিলা করতে হয় প্রত্যেককেই। কিন্তু অতিরিক্ত স্ট্রেস আপনার শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি সেই অতিরিক্ত স্ট্রেসের শিকার কি না বুঝবেন কিভাবে?
যে সব সমস্যা প্রতিনিয়ত আপনার মানসিক চাপের কারণ, সেগুলো ডাক্তারি পরিভাষায় ক্রনিক স্ট্রেস। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের শরীর অল্প মাত্রায় চাপ সামলানোর জন্য প্রস্তুত। তবে দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস শরীরকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। দরিদ্রতা, অর্থনৈতিক অবস্থা, পারিবারিক অশান্তি, দাম্পত্য কলহ, পরিবারে কারও কঠিন রোগ – এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মনকে অশান্ত করে তোলে।
এর ফলে বাড়তে পারে ইনসমনিয়া। কারণ দুশ্চিন্তা আপনাকে তাড়া করবে সবসময়। এমনকি আপনি যখন ঘুমোতে যাবেন, তখনও।

দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস শরীরে ব্যথা এবং যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে, ও মাথাব্যথা। মাইগ্রেন হওয়ায় অস্বাভাবিক নয়। স্ট্রেসের কারণে পেশি উত্তেজিত হয়। এই কারণেই শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বাড়ে।
স্ট্রেসের কারণে বেড়ে যেতে পারে বদহজম ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যা। হতাশা, অবসাদ থেকে হার্টের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here