তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জয় লাভ করেছে আফগানিস্তান। ব্যাটিং ব্যর্থতার ম্যাচে পাকিস্তান দেখল ৬ উইকেটের হার। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথম হারের স্বাদ পেল পাকিস্তান।
শুক্রবার রাত ১০টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। টস জিতে ব্যাটিংয়ের নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তুলে পাকিস্তান। জবাবে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় রশিদ খানের দল।
আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফজলে হক ফারুকী, মুজিব-উর রহমান এবং মোহাম্মদ নবী। এর মধ্যে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন মুজিব। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই, নাভীন-উল-হক ও রশিদ খান।
৩৮ বল থেকে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন নবী এবং ২৩ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন নাজিবুল্লাহ। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপরে কোনো রান যোগ না করে গুলবাদিন নায়েব আউট হলে চাপে পড়ে আফগান বাহিনী। ৫.৩ ওভারে ১৬ রানে ব্যাট করা রহমানুল্লাহ গুরবাজ আউট হলে চাপ আরেও বাড়ে।
দলীয় ৪৫ রানে করিম জানাতকে আউট করেন ইমাদ ওয়াসিম। তাতে ম্যাচের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ পায় পাকিস্তান। কিন্তু নবী ও নাজিবুল্লাহর জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় রশিদের দল। পাকিস্তানের পক্ষে ২ উইকেট নেন পেসার ইহসানুল্লাহ এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম ও নাসিম শাহ।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইমাদ ওয়াসিম। তবে এই রান করতে ইমাদের খরচ করতে হয়েছে ৩২ বল। এছাড়া ১৫ বল থেকে ১৭ রান করেন সাইম আইয়ুব, ৯ বলে ১৬ করেন তৈয়ব তাহির, ১৮ বলে ১২ রান করেন অধিনায়ক শাদাব খান। এর বাইরে বলার মতো রান করতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক তো শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছেন। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে খেলে যাওয়া আজম খানও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
আফগানদের পক্ষে দুর্দান্ত বল করেছেন প্রায় সকলে। সে তুলনায় ডানহাতি পেসার নাভীন-উল-হক ছিলেন কিছুটা খরুচে। তিনি ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৯ রান। এছাড়া আজমতুল্লাহ ওমরজাই বাদে বাকি সকলের বোলিং ইকোনমি ছিল চারের নিচে।