বিয়েতে আংটি এলো যেভাবে

0

বিয়ে মানে এখন যেনো আংটি বদল। এই আংটি বদল এক পরিণত হয়েছে বিয়ের আচারে। চার হাত জোড়া হওয়ার ক্ষণে এই আংটিটি থাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে। 

পুরো বিশ্বেই রয়েছে এই রীতি। তবে আংটি বদলের সূচনা করেছিল প্রাচীন মিশর। একই সময়ে রোমেও আংটি পরার চলের হদিস মেলে। তবে রোম আর মিশরের আংটির অর্থ ছিলো দুই রকম। মিশরীয় সভ্যতায় আংটি সুস্বাস্থ্যের প্রতীক। মিশরীয়রা মনে করতে ‘ভেনা অ্যামোরিয়াস’ বা প্রেমের শিরা বাঁ হাতের অনামিকা থেকে হৃৎপিণ্ডে গিয়ে ঠেকেছে। তারা মনে করতো বাঁ হাতের অনামিকায় আংটি পরালে তার টান হৃদয়ে গিয়ে লাগে। সেই সাথে আংটিকে গোলাকৃতিও দেয় মিশরীয়রাও। 

অন্যদিকে গ্রিক সভ্যতায় আংটির প্রচলন ছিল মালিকানা সূত্রে। কোনো নারীর হাতে আংটি থাকা মানেই তিনি কোনো না কোনো পুরুষের সম্পদ। প্রথম প্রথম এই আংটি তৈরি করা হতো হাতির দাঁত, বহু রঙের পাথর, তামা কিংবা লোহা দিয়ে। কিছুদিন পরই শুরু হয় স্বর্ণের চল। প্রথম আংটি হিসেবে সোনার ব্যবহার দেখা যায় ‘দ্য লস্ট সিটি’খ্যাত পম্পেইতে। 

তবে বিয়েতে আংটির প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। অষ্টম শতকে প্রথম পোপ নিকোলাস ঘোষণা করেন, এখন থেকে আংটি ব্যবহৃত হবে প্রমাণপত্র হিসেবে। কারও হাতে আংটি পরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো, তাকে বিয়ের প্রস্তাব জানানো। এর পর থেকেই বিয়েতে জনপ্রিয়তা পায় আংটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here