পুতিনের আমলে যেসব ভয়াবহ হামলায় কেঁপেছে মস্কো

0

এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার হামলায় কেঁপে উঠেছে ভ্লাদিমির পুতিনের মস্কো। গত ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম ১৯৯৯ সালে পূর্ব মস্কোর একটি আটতলা ভবনে বোমার বিস্ফোরণ হয়। ওই হামলায় ১১৮ জনের প্রাণ যায়। ওই কাছাকাছি সময়ে মস্কো ও রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি ভবনে হামলা হয়। তাতে প্রায় তিনশ’ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ক্ষমতার শুরুর দিকে থাকা পুতিন সেবার এই হামলার দায় চাপিয়েছিলেন চেচনিয়ার বিদ্রোহীদের ওপর। তারপর তাদের দমনে অভিযান শুরু করেন। 

২০০২ সালের মস্কোর দুবরোভকা থিয়েটারে চেচনিয়ার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের একটি দল ভয়ংকর অভিযান চালায়। তারা থিয়েটারটির ৮০০ জনের বেশি দর্শককে জিম্মি করে। দুই দিন ও তিন রাত চলে দর কষাকষি করেও লাভ হয়নি। পরে জিম্মিকারীদের অচেতন করতে থিয়েটারের ভেতর বিশেষ গ্যাস ছড়িয়ে দেয় রুশ নিরাপত্তা বাহিনী। তারপর চালানো হয় অভিযান। এতে ১৩০ জিম্মি মারা যায়।

এই ঘটনার বছর ছয়েক পর ২০১০ সালে মস্কোর পাতালপথে দুটি হামলা চালান দুজন আত্মঘাতী নারী। হামলায় ৪০ জন নিহত হন। এর একটি হামলা চালানো হয় এফএসবি গোয়েন্দা সার্ভিসের সদর দপ্তরের কাছে লুবিয়াংকা স্টেশন লক্ষ্য করে। হামলার দায় স্বীকার করেন চেচেন স্বাধীনতাকামীদের একটি গোষ্ঠী ‘দ্য ককেশাস আমিরাত’।

সবশেষ বড় হামলাটি হয়েছিলো ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি। এদিন মস্কোর দোমোদেদোভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী হলে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান এক ব্যক্তি। তাতে ৩৭ জন নিহত হন। এ হামলারও দায় স্বীকার করে ‘দ্য ককেশাস আমিরাত’।

তবে এবার অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, হামলা যে গোষ্ঠীই চালাক। এর চড়ামূল্য ইউক্রেনকেই দিতে হবে। প্রতিশোধ পরায়ণ পুতিন কোনোভাবেই ছেড়ে কথা বলবেন না। তিনি সময় ও সুযোগ করে ইউক্রেনের ওপর প্রতিশোধ নেবেনই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here