নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ সাবেক সিনিয়র সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সচিব পদে যোগদান করেন। তাকে ১৮ মে ২০২০ তারিখে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে পুনরায় একই বিভাগে পদায়ন করা হয়।
তিনি ১৯৬১ সালে নওগাঁর বদলগাছীর বালুভরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্রজেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী একজন সমাজসেবক ছিলেন। ১৯০৭ সালে তার পিতামহ রাজেন্দ্র ব্রজকিশোরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৬ সালে এসএসসি, ১৯৭৮ সালে নওগাঁ বিএমসি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৮১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৮২ সালে স্নাতকোত্তর ও ১৯৮৪ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বর্তমান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, প্রশিক্ষণ ও সভা সেমিনারে অংশ নেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি বদলগাছীতে তার বাবার দান করা জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক, রাস্তাঘাট পাকাকরণ, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, বালুভরা ছোট যমুনা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, শহীদ মিনার, মসজিদ, ঈদগাহ, মন্দির, প্রভৃতি উন্নয়ন করেন। তার মা সবিতা চক্রবর্ত্তী স্বাধীনতা পূর্ব ও স্বাধীনতা উত্তর বদলগাছী থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ছিলেন। তার শ্বশুর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ২০০৮ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত নাটোর সদর আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী। তার স্ত্রীর বড় বোন উমা চৌধুরী জলি বর্তমানে নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নতুন মুখ সাবেক সিনিয়র সচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে আশা নিয়ে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি জনগণের ভোটে জয়লাভ করে সেই আসনটি অবশ্যই তাকে উপহার দেব। কারণ, কর্মজীবন থেকেই বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি এ আসনটি উপহার দেবেন। চূড়ান্ত বিজয় না অর্জন হওয়া পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমার সঙ্গে জনগণের ভালোবাসা আছে।