দিনাজপুরে গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ

0

দিনাজপুরের বিভিন্ন আম বাগানগুলোর গাছে গাছে বিভিন্ন জাতের আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। ফাল্গুনের শুরু থেকেই সর্বত্রই উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। আবার কোনো কোনো গাছে আমের গুটিও ধরেছে। এখন বাগানে বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ কেউ উন্নত পদ্ধতিতে আম চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণের নানান পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যাতে আমের ভাল রঙ, দাম ও ফলন পাওয়া যায়। 

তবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে যেমন উৎপাদন বাড়বে, তেমনি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিবহন, রপ্তানিসহ বাজারজাত করতে পারলে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন এমনটাই বলছেন কৃষি অফিস কর্মকর্তারা। 

হিমসাগর, হাড়িভাঙ্গা, রূপালি, বারি-৪, গৌরমতি, আম্রপলি, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে দিনাজপুরে। নবাবগঞ্জ, খানসামা, বিরল, কাহারোল ছাড়াও দিনাজপুরের সকল উপজেলায় আম চাষ হচ্ছে। তবে ভাল ফলনে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে নবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। বাগানে চলছে আমের মুকুল আটকে রাখতে পরিচর্যাসহ ওষুধ স্প্রেকরণ। নবাবগঞ্জের অনেক কৃষক কৃষি জমিতে সাথি ফসল হিসেবে চাষ করছেন আম। নিরাপদ ও মানসম্মত আম উৎপাদন করে বাজারজাতকরণে নবাবগঞ্জে শতাধিক আমচাষীর সমন্বয়ে ২০১৬ সালে ‘মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেড’ গঠিত হয়েছে। ঋণ সুবিধাসহ সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে এ অঞ্চলের আম বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান।

মো. জিল্লুর রহমান জানান, আমার নিজেরই ৩ একর জমিতে আম চাষ করছি। ভাল ফলনের আশাও করছি। সব আম বাগানে এসেছে সম্ভাবনাময় মুকুল। নিরাপদ, মানসম্মত ফল উৎপাদনে পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছি। নবাবগঞ্জেই ৮০৪ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এখানে প্রচুর পরিমাণে হিমসাগর, হাড়িভাঙ্গা, রূপালী, বারি-৪ জাতের আমই চাষ হয়। প্রতিবছর প্রায় ২৫/২৬কোটি টাকার আম বিক্রি হয়। গ্রাম বিকাশের সহযোগিতায় এই এলাকার চাহিদা সম্পন্ন আম বিদেশে রপ্তানির চেষ্টা করছি।এজন্য ট্রেনিং নিয়েছি। এ অঞ্চলের আম মানসম্মতভাবে উৎপাদন করে বিদেশে যেন পাঠানো সম্ভব হয় এ লক্ষে প্রশাসনের সহায়তাসহ সার্বিক কামনা করছি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here