গাজার পরিস্থিতি ‘নারকীয়’: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ‘নারকীয়’ উল্লেখ করে সেখানে আরও বেশি মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি করলেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।

বেয়ারবক বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। মঙ্গলবার তিনি যান ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত কেরেম শালোমে।

বেয়ারবক জানান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, কোথায় সমস্যা এখনও জট পাকিয়ে আছে, তা নিয়ে আলোচনা করার সময় আর নেই। রাফা সীমান্ত দিয়ে যে ট্রাকগুলো গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে ঢোকে সেগুলোতে তিনবার তল্লাশি চালানো হয়। সমস্ত জিনিস নামিয়ে দেখা হয়। যেভাবেই হোক এই প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে। এর ফলে গাজায় যত দ্রুত মানবিক সাহায্য পৌঁছানো দরকার, তা পৌঁছাচ্ছে না।

বেয়ারবক আরও জানান, মিশর ও ইসরায়েল দুই পক্ষই তাকে ট্রাক কীভাবে গাজায় ঢোকে সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। বস্তুত, তিনিই প্রথম বিদেশিমন্ত্রী যাকে ইসরায়েল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিল। তাকে দেখানো হয়েছে, কীভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়।

৭ অক্টোবরের ঘটনার আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেত। তার মধ্যে ৩০০ ট্রাক যেত কেরেম শালোমের সীমান্ত দিয়ে। তা কমে এখন ১২০টি ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ১২টি ট্রাক সীমান্ত পার করে। ইসরায়েল সীমান্তে দু’টি স্ক্যানারে এই ট্রাকগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয়, জিনিসের সাথে বন্দুক, গুলি ইত্যাদি জিনিস পাঠানো হচ্ছে কিনা।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা তাদের জানিয়েছেন যে আরও ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বেয়ারবক এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। সেখানে দ্বি-রাষ্ট্রবিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ-পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here