গাজার অনেক শিশুর শরীরে কান্না করার মতো শক্তিও নেই : ইউনিসেফ

0

জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এটা হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১৩ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে।

ইউনিসেফ গত রবিবার বলেছে, গাজা উপত্যকায় মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা অনেক। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে কাতর এই শিশুদের অনেকেরই শরীরে কান্না করার মতো পর্যাপ্ত শক্তি পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গাজায় আরও হাজারো শিশু আহত হয়েছে। কিন্তু এসব শিশু কোথায় আছে আমরা সেটাও জানি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় যে পরিমাণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, বিশ্বে আর কোনো সংঘাতে আমরা এমনটা দেখিনি।’

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর একজন এখন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

শুধু আকাশপথে নির্বিচার বোমা হামলা নয়, গাজায় স্থল অভিযানও চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। গতকাল দখলদার ইসরায়েলের খুনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মিসরের সীমান্তসংলগ্ন ফিলিস্তিনের রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শহরটিতে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসকের পরিকল্পনায়  বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে আজকের ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল।

সূত্র : পার্সটুডে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here