কানাডায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

0

কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। দিনের শুরুতে সকাল ১০টায় মিনিস্টার ও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার দেওয়ান হোসনে আইয়ুব হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতে বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন। 

দিবসের পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে হাইকমিশনের মিলনায়তনে বেলা ১২টায় মিনিস্টার ও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে ও দূতাবাসের কাউন্সিলর শারমিন সুলতানার সঞ্চালনায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলের বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। 

ভাষার দাবিতে বঙ্গবন্ধুর বারবার কারাবরণের কথা উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের প্রস্তাবক ছিলেন জাতির পিতা। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারিকে UNESCO কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেটি সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই স্বীকৃতি দেয়ার পিছনে দু’জন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশির অবদানের কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। কানাডার হাউজ অব কমন্স কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘International Mother Language Day Act’ পাস করায় কানাডার জনগণ ও সরকারকে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলা ভাষার চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগসমূহের কথা উল্লেখ করেন। একুশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার প্রয়াসে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এর পূর্বে আলোচনার শুরুতে দূতাবাসের কাউন্সিলর অপর্ণা রানী পাল ও দ্বিতীয় সচিব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা থেকে প্রেরিত ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এছাড়াও, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here