ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ

0

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। তারপরও ইন্টারনেট ব্যবহার সক্ষমতায় এখনো পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই হার পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। তবে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ প্রতিবেশী এবং সমপর্যায়ের অর্থনীতির বিভিন্ন দেশের তুলনায় কম।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার নয়, স্মার্টফোন ব্যবহার, ইন্টারনেটের গতি, ব্যবসায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ও সমপর্যায়ের বিভিন্ন দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা ফোরজির আওতা, ইন্টারনেটের দাম ও ডিজিটাল লেনদেনের দিক থেকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ২২৫টির মতো দেশ ও অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার মিয়ানমারের চেয়েও কম। মিয়ানমারে জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের শ্রেণিভুক্ত। এই শ্রেণিভুক্ত দেশগুলোতে গড়ে জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে হার ৪২ শতাংশ। মানে হলো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার গড় হারের চেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

ইন্টারনেট ব্যবহারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে বিশ্বব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ২০২২ সালের উপাত্ত ব্যবহার করেছে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যগুলো যেহেতু ২০২২ সাল পর্যন্ত, সে ক্ষেত্রে কিছু অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবহারে এগিয়ে যাওয়ার তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে আরও এগিয়ে যেতে।

বিবিএসের স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস প্রতিবেদন-২০২৩ বলছে, এখন দেশের পাঁচ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই উপাত্ত বিবেচনায় নিলেও দেখা যায়, বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here