আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালন করবে ইউনেস্কো

0

ইউনেস্কোর নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক শীর্ষ সংস্থা ইউনেস্কোর প্যারিস্থ সদর দপ্তরে চলমান নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় বাংলাদেশের প্রস্তাবে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

বাংলাদেশের উত্থাপিত এ প্রস্তাব ৬৪টি সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন করে। এ সিদ্ধান্তে মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রমকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে নির্বাহী পর্ষদ।

এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইউনেস্কোর সদর দপ্তর, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দপ্তরসমূহে দিবসটির রজতজয়ন্তী পালনের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাহী পর্ষদ। এ ছাড়া সংস্থাটির সব সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তটি নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন লাভের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা ইউনেস্কোর সব সদস্য রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ইশারা ভাষাকে মাতৃভাষার সমান গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে ভাষাকে সার্বজনীনতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত এই সিদ্ধান্তকে প্রধানমত্রীর নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাতৃভাষা ও ইশারা ভাষার সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকার আরেকটি স্বীকৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণে দেশে ও বিদেশে বিশদ পরিসরে নানাবিধ কর্মসূচি গৃহীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বৈশ্বিক উদযাপনকে বাংলাদেশের জনকূটনীতির একটি অনন্য সাফল্য হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান ইতিহাসকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে তিনি মনে করেন।

আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের পূর্ব মুহূর্তে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ঘোষিত দিবসের রজতজয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্তে উৎফুল্ল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসীসহ সর্বস্তরের বাংলাদেশি নাগরিক।

উল্লেখ্য, গত ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here