ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল দিমুথ করুণারত্নে ও কুসল মেন্ডিসের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। তারা দু’জন ১১৪ রান যোগ করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কুসল ফিফটি তুলে নেন। অন্যদিকে করুণারত্নে ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে বাংলাদেশের মাথাব্যাথার কারণ হওয়া এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান হাসান মাহমুদ। তার বলে বোল্ড হয়ে যান করুণারত্নে। ১২৯ বল খেলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় ৮৬ রান করে যান তিনি।
৬২ রান নিয়ে ব্যাট করা কুসলের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।
বাংলাদেশ শুরুটা করে দুই পেসারকে দিয়ে। একপাশ থেকে দারুণ বল করতে থাকেন হাসান মাহমুদ। তিনি তৈরি করেন সুযোগও। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলটি কিছুক্ষণ হাওয়ায় ভেসেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপ অবধি বল ক্যারি করেনি।
ওই ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে ক্যাচ দেন মাদুশকার। হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কীভাবে খেলবেন, বুঝতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন জয়। শুরুর চাপ উবে যায় যেন মুহূর্তেই।
পরে হাসান মাহমুদের বলেই করুণারত্নের ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ ছিল সাকিবের জন্য। কিন্তু তিনি সেটি নিতে পারেননি তিনি। হতাশা বাড়ে বাংলাদেশের জন্য। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাদুশকা।
বিনা উইকেটে প্রথম সেশন পার করার পর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের করা বল দিমুথ করুণারত্নে কাভারে ঠেলে দিয়ে ১ রান নেন। নিশান মাদুশকা অবশ্য আরও এক রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন। কিন্তু তাকে মাঝপথ থেকে ফেরান করুণারত্নে। এরই মধ্যে কাভার থেকে হাসান মাহমুদের থ্রো লিটন দাসের গ্লাভসে জমা হয়। মাদুশকা পৌঁছানোর আগেই উইকেট ভাঙেন লিটন। তাতে রান আউট হয়ে ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো মদুশকা। ১০৫ বল খেলে ৬ চারে ৫৭ রান করেন তিনি।