ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা পরশ শিকদারকে বহিষ্কার করলেন জেলা মৎস্যজীবী লীগ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদারের পিস্তল তাক করার একটি ছবি তোলপাড় করে। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ফরিদপুর জেলা শাখা এক জরুরি বৈঠক করে তাকে বহিষ্কার করে।
জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সেবাহান ও সদস্য সচিব ফরিদ মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ থেকে জানা যায়, পিস্তল হাতে নিয়ে শোঅফ করায় সংগঠনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে যা সংগঠনটির গঠনতন্ত্র বিরোধী। যে কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
তবে, বহিষ্কারাদেশ পত্রের বিষয়বস্তুতে কারণ দর্শানো নোটিশ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে উল্লেখ থাকলেও মূলপত্রে কোথাও তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় নাই। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে সরাসরি বহিষ্কার করা যায় কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া জেলা কমিটি সরাসরি একজন যুগ্ম আহ্বায়ককে বহিষ্কার করার এখতিয়ার রাখে কিনা এ নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
অতি সম্প্রতি বোয়ালমারী উপজেলায় একজন ছাত্রলীগ নেতাসহ পরাপর তিনজন এভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ ছবি প্রকাশের ঘটনায় অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এসব ঘটনায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে জনমনে।
মিনহাজুল আবেদিন চয়ন ছবিটি তোলার কথা স্বীকার করে জানান, ঢাকার পল্টনের একটি আগ্নেয়াস্ত্রের শোরুম থেকে ছবিটি তোলা। পরশ অস্ত্র হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় আমিই ছবিটি তুলেছিলাম। কাউকে কাউকে ছবিটি দিয়েছিলাম সে সময় পুরনো সেই ছবিই কেউ ফেসবুকে ছেড়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সোবাহান জানান, আমরা জানতে পেরেছি এটি পাঁচ বছর আগের একটি আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান থেকে তোলা ছবি, যেহেতু বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুন্ন হয়েছে তাই কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনায় জেলা কমিটি তাকে দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে। এ বিষয়ে তার আপিল করার সুযোগ রয়েছে।