ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শীর্ষ উপদেষ্টা মিখাইল পোদোলিয়াক দাবি করেছেন ইউক্রেন সংঘাতের জন্য আমেরিকা দায়ী। তবে মার্কিন আইন প্রণেতারা ইউক্রেনের জন্য যে ‘বিজয় প্রস্তাব’ করেছেন তার প্রশংসা করেছেন। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, ওয়াশিংটন কিয়েভকে ন্যাটোর সদস্য হিসেবে স্বীকার করে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের লক্ষ্য অনুমোদন করে একটি ‘ঐতিহাসিক ভুল’ সংশোধন করতে চায়।
পোদিয়ালাক বলেন, আমেরিকা দুর্ভাগ্যবশত অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সঙ্গে মিলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনকে পারমাণবিক এবং অন্যান্য অস্ত্র ত্যাগ করতে উৎসাহিত করেছে। এটি একটি ভুল নীতি যা আগ্রাসী শক্তির মাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং ইউরোপকে একটি বড় যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এক টুইটার পোস্টে পোদিয়ালাক একথা বলেন।
তবে রাশিয়া সবসময় বলে আসছে- এসব পরমাণু অস্ত্রের মালিক ইউক্রেন ছিল না বরং মালিক ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। মার্কিন আইনপ্রণেতা জো উইলসন এবং স্টিভ কোহেন প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাবে তুলেছেন যার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন পদোলিয়াক। যদিও প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন সরকার এর বিষয়বস্তুর সম্পর্কে অবহিত।
ওয়াশিংটনে কিয়েভের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভা মঙ্গলবার টুইট বার্তায় বলেছেন, এই প্রস্তাবে জেলেনস্কির “শান্তি ফরমূলা”র গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের একটি অজ্ঞাত সূত্র ইয়াহু নিউজকে বলেছে, প্রস্তাবটি কার্যত জেলেনস্কির কথার প্রতিধ্বনি যাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ১৯৯১ সালের ইউক্রেনীয় সীমানা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আমেরিকাকে অবস্থান নিতে হবে, রাশিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে হবে এবং রুশ নেতৃত্বকে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সূত্র : পার্সটুডে।