মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন ভূইয়া প্রবাস জীবনেও মানবিকতার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ছিনতাইকারি দুর্বৃত্তের ধাক্কায় পাকা রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথা ফেটেছিল। এ অবস্থায় দীর্ঘ ১১ মাস ১৪ দিন কোমায় থাকার পর ২৫ এপ্রিল ভোর রাতে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূইয়া (৭৬) নিউইয়র্ক সিটির ফ্লাশিং হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ভোলার সন্তান রুহুল আমিন গত বছরের ১১ মে সকাল সাড়ে ১১টায় ক্ইুন্সের হিলসাইড এভিনিউতে ফাতেমা গ্রোসারির পাশে দিয়ে বাসায় যাবার সময় কৃষ্ণাঙ্গ এক ছিনতাইকারির ধাক্কায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। তারপর চিকিৎসকরা শতচেষ্টা করেও তার জ্ঞান ফেরাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটারন্স’৭১’ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রুহুল আমিন ভূঁইয়া জ্যামাইকা হিলসাইডের ৮৭-৩২,১৬৬ স্ট্রীটে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। ৫ পুত্র-কন্যার মধ্যে ৪ জনই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। এক কন্যা বাস করেন বাংলাদেশে।
জানাযায় বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও প্রবাসের বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। জানাযা শেষে মুক্তিযোদ্ধার কফিনে স্যালুট জানান সহযোদ্ধারা। নেতৃত্ব দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ থেকে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায়। এ সময় রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন ডেপুটি কন্সাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান। তাকে দাফন করা হবে প্রিয় জন্মভূমি ভোলার পারিবারিক গোরস্থানে। ২৬ এপ্রিল বুধবার তার কফিন বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। সাথে যাচ্ছেন তার স্ত্রী ও পুত্র-কন্যারা।