নদীর বালুর চরে তরমুজ বাড়ি। এক সময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদীর চরে এখন চলছে তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। এখন নদীর চরও অর্থনৈতিক অবদান রাখছে। নদীর বালুর চর থেকে কেউ বালু উত্তোলন করছে আবার কেউ চরে বিভিন্ন ফসলের চাষও করছে। এই চরে কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন মজনু। এ চরেই গতবার এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন।
তরমুজ চাষে সফলতায় ওই অঞ্চলের সকলে নদীর ফিরিঙ্গির ঘাট এলাকায় চরটিকে এখন তরমুজ নয়তো কুমড়া বাড়ি বলেই ডাকেন। নদীর দুইপারের চরেই চলছে তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ।
মজনু জানান, খরস্রোতা আত্রাই নদীর এ চরে কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত ভালভাবে চাষ করা যায়। সামান্য পরিচর্যা ছাড়া কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদিত তরমুজ, কুমড়া দিনাজপুরের আশ-পাশের জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকায় পাইকারিদের মাধ্যমে বিক্রয় করি। আরও ২ মাস তরমুজ, কুমড়া বিক্রি করতে পারবো।
চাষি মজনু আরও জানান, কৃষি বিষয়ে তেমন কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। ধান চাষ করি। কিন্তু তরমুজ, কুমড়া চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় এখন কুমড়া চাষ করি। তবে বালু উত্তোলনের ফলে চাষাবাদে অসুবিধার সৃষ্টি হয়।