সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র) পুনরায় নির্বাচনে অবতীর্ণ হবার ঘোষণা দিলেন ২৪ এপ্রিল। তবে তা সরাসরি জনসমক্ষে না দিয়ে ভিডিও-তে প্রদান করায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নীতি-নির্ধারকদের অনেকে সন্দিহান রয়েছেন যে, শেষ পর্যন্ত বাইডেন মাঠে নামবেন কিনা। কারণ ৮০ বছর বয়সী বাইডেনের পুনরায় প্রার্থী হওয়াকে পছন্দ করছেন না খোদ তারই ডেমক্র্যাটিক পার্টির ৫০% ভোটার। ২০২০ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জো বাইডেন।
মঙ্গলবার ছিল বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদে (প্রথম টার্মে) নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর চতুর্থ বর্ষপূতির দিন এবং সেদিনই ভিডিওতে পুনরায় প্রার্থীতার ঘোষণা দিলেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ বাইডেনের উচিত পুনরায় প্রার্থী না হওয়া-এমন কথা ডেমক্র্যাটদের সাথে রিপাবলিকানদেরও অধিকাংশই বলাবলি করছেন।
কারণ, রিপাবলিকানদের অনেকেরই আশংকা, ট্রাম্প পুনরায় জয়ী হলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেপরোয়া হবেন নানা পদক্ষেপ গ্রহণে-যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে কখনোই মঙ্গলের হবে না।
এদিকে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে সবচেয়ে বেশি চাঁদা প্রদানকারিদের সাথে বাইডেনের একটি বৈঠক হবার কথা ২৮ এপ্রিল শুক্রবার। পুনরায় বিজয়ের চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলারের তহবিল গড়তে চায় ডেমক্র্যাটরা। কারণ, সামনের বছরের নির্বাচনে কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে রিপাবলিকান প্রার্থীকে ধরাশায়ী করতে। চলতি মেয়াদে অঙ্গিকারের অনেক কিছুই পুরণে সক্ষম হননি বাইডেন-এ প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। অপরদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া উচিত ছিল-তা এখনও দৃশ্যমান হনি বলে মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাইডেনের রানিংমেট পুনরায় কমলা হ্যারিসই হবেন বলেও আভাস দেয়া হয়েছে।