ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইন করা ৭৮ জনকে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চর থেকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা ৭৮ জনের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন ভারতীয় মুসলিম নাগরিক। কোস্টগার্ড এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গত শুক্রবার ভোররাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম ও ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে জোরপূর্বক পুশ ইন করে। এদের অধিকাংশই দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতের গুজরাট রাজ্যে বসবাস করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় গত ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতীয় পুলিশ তাদের বস্তিগুলোতে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের সামনে অমানবিক নির্যাতন করার পাশাপশি পরিবারের অন্যন্যা সদস্যদেরও পাশবিক নির্যাতন করে। তারপর তাদের চোখ বেঁধে একটি সামরিক বিমানে ও পরিবারের অন্যন্যা সদস্যদের অপর একটি সামরিক বিমান যোগে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় স্থানাস্তর করে। পরবর্তীতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জাহাজের মাধ্যমে ৯ মে ভোররাতে গোপনে বাংলাদেশের সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চর রেখে যায় এবং জাহাজে অবস্থাকালীন সময়ে শারীরিক নির্যাতন, অমানবিক আচরণ, ধর্মীয় অবমাননাসূচক মন্তব্য ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করেনি।
এখন পর্যন্ত আটক তাদের স্ত্রী সন্তানদের সঠিক অবস্থানও তারা জানে না। সুন্দরবন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা শনিবাপর দুপুরে পুশইন করা ৭৮ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় খাবার, পানি ও ঔষধ সামগ্রী সরবরাহ করে।