মেহেরপুরে ৪০০ টন লিচু উৎপাদনের আশা

0

মেহেরপুর জেলায় স্থানীয় মোজাফফর জাতেরসহ চায়না-৩, বোম্বাই ইত্যাদি জাতের লিচু মিলে ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ আছে। প্রাকৃতিক কোনও ধরণের দুর্যোগ না হলে ৪০০ টন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা।

আম-কাঁঠালের পাশাপাশি মেহেরপুরের লিচু সুস্বাদু। চাহিদাও ভালো। ভৌগলিক কারণে মেহেরপুরের লিচু অন্য জেলার আগেই বাজারজাত করা যায়। দাম ভালো পাবার কারণে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে লিচু চাষ। মেহেরপুরের লিচুর কদর হিমসাগর আমের মতোই। লিচু ক্ষণকালীন ফল। তবে আগাম উৎপাদন ও অধিক দামের কারণে লিচু চাষে কৃষকরা অধিক উৎসাহী হয়ে পড়েছে।

মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে- লিচুর ভারে ডাল নুইয়ে পড়েছে। জেলা শহরের নতুনপাড়ার লিচু চাষী হেকমত আলী জানান তার ৫ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান। লিচুগাছে ফুল আসার আগেই গত জানুয়ারি মাসে ৫ লাখ টাকায় লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বাগান।

লিচু বাগান ক্রেতা মাবুদ আলী জানান, তিনি তিনটি লিচু বাগান কিনেছেন প্রায় ৫ লাখ টাকায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অন্তত ৮ লাখ টাকার কেনা বেচা হবে। তিনি জানান- এই একটি মাত্র ফল একমাস সময় যত্ন করতে হয়। লিচুর বড় শত্রু বাদুড় আর চামচিকা। লিচুতে রং ধরলেই একরাতেই চামচিকাতে লিচু কেটে নষ্ট করে দেবে। এজন্য রাত জেগে বাদুড় চামচিকা  প্রতিরোধ করতে হয়। অতিরিক্ত তাপদাহও লিচু ফেটে নষ্ট হয়ে যায়।

ঝাউবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষী আব্দুল মান্নান জানান, তার তিন বিঘা জমিতে লিচুর বাগান। চলতি বছরসহ পরবর্তী দুই বছরের জন্য আগাম ফল বিক্রি করে দিয়েছেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায়।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, মেহেরপুরে ৮০ ভাগ বাগানে আটি লিচু চাষ হয়। এই লিচুর বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে- আটি মোজাফফর জাতির লিচু আগাম পাকে। সংখ্যায় বেশী ধরে। পোকার আক্রমণ কম হয়। ফলের ৭০ ভাগই রসালো। জেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ আছে। ৪০০ টন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here