আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত

0

চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজ হার এড়িয়েছে টাইগাররা। এ জয়ের মাধ্যমে সিলেটে প্রথম টেস্টে হারের হতাশা কাটিয়ে উঠে সমতায় ফিরেছে দল।

ম্যাচ শেষে দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, “পুরো দল অসাধারণ পারফরমেন্স করেছে। ম্যাচের আগে তারা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, তাতে আমি খুবই সন্তুষ্ট। তবে আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে।”

সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে সিরিজ হারার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। সমালোচনার মুখে পড়লেও চাপ অনুভব করেননি বলে জানিয়েছেন শান্ত। তার ভাষায়, “আমি মনে করি না, প্রথম টেস্টে হারের পর আমরা চাপে ছিলাম। অবশ্যই আমরা ভালো খেলতে পারিনি, তবে আমরা জানতাম চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াতে পারব—আগেও আমরা অনেকবার সেটা করেছি।”

এই জয়ের ফলে আন্তর্জাতিক টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে নিচের সারিতে থাকা জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হার এড়াতে সক্ষম হলো বাংলাদেশ। এখন শান্তর নজর দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখায়।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিলেট টেস্ট হারলেও চট্টগ্রামে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। উইকেটে টিকে থাকতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ব্যাটাররা। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষ বোলারদের সামাল দিয়ে দলের স্কোর বোর্ডে বড় রান জমা করেছে ব্যাটাররা।

সাদমান ইসলামের সাথে বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ১১৮ রানের জুটি গড়েন তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম শতরানের দেখা পায় বাংলাদেশ।

এনামুল ৩৯ রানে আউট হলেও, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। শেষ পর্যন্ত ১২০ রানে আউট হন তিনি। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ছোট-ছোট ইনিংস খেললেও সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসে ১০৪ রান করেন তিনি। মিরাজের ইনিংসের উপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রান করে ২১৭ রানের বড় লিড পায় বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে খেই হারায় জিম্বাবুয়ে। ফলে দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশ বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে সফরকারীরা। ১১১ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন মিরাজ।

প্রথম ইনিংসে মিরাজ উইকেট না পেলেও, বাংলাদেশের কান্ডারি ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে আটকে রাখেন তাইজু ।

শান্ত বলেন, ‘উদ্বোধনী জুটিতে আমাদের সমস্যা থাকলেও এবার দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন সাদমান এবং বিজয়। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।’ সূত্র: বাসস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here