কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

0

গরমে একটুকরো টক-মিষ্টি কাঁচা আম যেন দারুণ তৃপ্তির উৎস! শরবত, টক ডাল কিংবা লবণ-মরিচ মাখানো – যেভাবেই খান না কেন, কাঁচা আম শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও অনন্য। বিশেষ করে লিভার বা যকৃত সুস্থ রাখতে কাঁচা আমের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখযোগ্য।

লিভারের জন্য কাঁচা আম কেন উপকারী?

পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা আম লিভারে বাইল (পিত্তরস) উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ভাঙতে এবং টক্সিন বা দূষিত উপাদান বের করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  

এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়ক। 

লুপেওল নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে কাঁচা আমে, যা লিভারকে নানা রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

কাঁচা আমের আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা

হৃদযন্ত্রের যত্নে: এতে থাকা ভিটামিন বি ও ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
হজম শক্তি বাড়ায়: কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি এবং বদহজমে কাঁচা আমের প্রাকৃতিক হজমকারী উপাদান কাজ করে।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা: প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি স্কার্ভি প্রতিরোধ করে, দাঁতের ক্ষয় রোধ ও গলার দুর্গন্ধ দূর করে।
রক্ত শুদ্ধিকরণ: রক্তাল্পতা বা হিমোফিলিয়ার মতো সমস্যায় কাঁচা আম সহায়ক। এটি রক্তকণিকা তৈরি করে ও রক্ত চলাচল উন্নত করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: কম ক্যালোরি ও কম চিনি থাকায় এটি ওজন কমানোর ডায়েটের জন্য উপযুক্ত।
ত্বক, চুল ও চোখের যত্ন: এতে থাকা ভিটামিন এ, সি ও কে ত্বককে উজ্জ্বল করে, চুলকে করে মজবুত এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

কীভাবে ও কতটুকু খাবেন?

যদিও গরমে কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়ক, তবে অতিরিক্ত খেলে পেট ব্যথা, গলা শুকনো বা অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা আম খাওয়ার পরপরই ঠাণ্ডা পানি পান এড়িয়ে চলা উচিত – এতে গলায় সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here