গেঁটে বাত বা গাউট হচ্ছে একটি প্রদাহজনিত বাত রোগ। এ রোগে হাড় জোড়া ও আশপাশের টিস্যুতে প্রদাহ হয়ে মনোসোডিয়াম ইউরেট মনোহাইড্রেট ক্রিস্টাল জমা হয়। বয়স বৃদ্ধি ও রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণত মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগ পাঁচ গুণ বেশি হয়। মানবদেহে ইউরিক এসিডের এক-তৃতীয়াংশ আসে খাবারের মাধ্যমে এবং দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ পিউরিন বিপাকের ফলে। শতকরা ৯০ ভাগ গাউট রোগীর ক্ষেত্রে ইউরিক এসিড নিষ্কাশনে সমস্যা থাকে। ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে শরীরে বেশি ইউরিক এসিড তৈরি হয়।
কীভাবে বুঝবেন :
১. সাধারণত একটি জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়। তবে একসঙ্গে একাধিক জয়েন্ট আক্রান্ত হতে পারে।
২. ৫০% ক্ষেত্রে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি আক্রান্ত হয়।
৩. সাধারণত রাতে বেশি আক্রান্ত হয়। খুব দ্রুত ব্যথা শুরু হয়ে ২-৬ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র আকারে ধারণ করে।
৪. প্রায়শই ভোরে ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়। রোগী পায়ের মোজা ও জুতা ব্যবহার করতে পারে না। অবষাদগ্রস্ততা থাকতে পারে।
চিকিৎসা :
রিহেব-ফিজিও অত্যন্ত কার্যকরী। আক্রান্ত জোড়ার ঠাণ্ডা সেক বা বরফ পানির সেক উপকারে আসে। ওষুধ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে খাওয়া যেতে পারে। ইউরেটের পরিমাণ মাত্রার মধ্যে রাখতে হবে।
লেখক: চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি হাসপাতাল, ঢাকা।