গেল কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর হয়ে খেলে ব্যাপক আলোচনায় চলে এসেছিলেন দেশটির তারকা ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। আফ্রিকার দেশ মরক্কো যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে, সেটার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার।
বিশ্বকাপের প্রতি মুহূর্ত মায়ের সঙ্গে উপভোগ করেছিলেন এই পিএসজি ডিফেন্ডার। মায়ের প্রতি হাকিমির এই ভালোবাসায় বেশ বাহবা পেয়েছিলেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের পরই বিতর্কে জড়িয়েছেন হাকিমি।
তালাকের আবেদন করার পর আশরাফ হাকিমির স্ত্রী হিবা আবুকের সঙ্গে সম্পত্তি ভাগাভাগির দাবি ওঠে। স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর নিজের সম্পদের অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে হাকিমিকে। তবে এ বিষয়টা সামনে আসার পর উঠলো পিলে চমকানোর মত খবর।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, হাকিমির স্ত্রী হিবা আবুক স্বামীর কাছ থেকে তার সম্পদের অর্ধেক দাবি করেছেন। কিন্তু সেই দাবি সামনে আনার পর তিনি জানতে পারেন, হাকিমির যে সম্পদ রয়েছে, ৮০ ভাগই তার মায়ের নামে।
আশরাফ হাকিমির মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪ মিলিয়ন ডলারের। তিনি আফ্রিকান ফুটবলারদের মধ্যে ৬ষ্ঠ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার। হাকিমি প্রতি মাসে পিএসজি থেকে পেয়ে থাকেন ১ মিলিয়ন ডলার। ২৪ বছর বয়সী হাকিমি তার স্ত্রী হিবা আবুকের চেয়ে ১২ বছরের ছোট। কয়েক বছর ধরে হাকিমির বেতনও নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসছেন তার মা।
পুরো ঘটনা নিয়ে এবার আলাদাভাবে মুখ খুলেছেন হাকিমির মা এবং স্ত্রী। হাকিমির মা সাইদা দোষ দিয়েছেন হিবার ঘাড়ে। আর হিবা বলেছেন, বস্তুগত সম্পদের প্রতি তার কোনো মোহ নেই। চিন্তাভাবনা করেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মরক্কোর এক সংবাদমাধ্যমকে হাকিমির মা বলেছেন, ‘যদি আমার ছেলে এই কাজ (সম্পদ মা সাঈদার নামে করে দেওয়া) না করে, তাহলে এই নারীর কাছ থেকে সে মুক্তি পাবে না।’ সাইদার এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে ছেলের বউয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়।
অন্যদিকে হাকিমির সম্পদ দাবি করা হিবা সুর পাল্টে বলেছেন, ‘আমি দুই মিটার স্কয়ার ঘর ভাগাভাগি করে থাকতাম। বস্তুগত জিনিসের ব্যাপারে আমার আগ্রহ শূন্য। আমি সব সময় লড়াকু।’
এর আগে ২৪ বছর বয়সী এক নারী হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সম্প্রতি প্যারিসে হাকিমি নিজের বাসায় তাকে ধর্ষণ করেন, এই অভিযোগ করেছেন সেই নারী। তবে এ ঘটনায় স্ত্রী হিবা তালাক চাইলেও নিজের দেশ ও ক্লাবের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন হাকিমি।