বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর : আ. লীগের ৮ নেতা-কর্মী কারাগারে

0

বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করার মামলায় আওয়ামী লীগের ৮ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। 

আজ বৃহস্পতিবার বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হলে ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

আসামিরা হলো-আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ উদ্দীন মেলকার, হাবিবুর রহমান মীর, হানিফ দফাদার, সুমন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা, বাদল প্যাদা ও সাইদুল ইসলাম।

জানা যায়, ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় আমতলী উপজেলা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন আমতলী থানায় ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসানসহ ৩৮ জন এবং অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আমতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান তদন্ত শেষ করে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

এজাহার ভুক্ত আসামিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। মামলার বাদি উপজেলা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার আদালতে পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়। আদালত বাদির নারাজি শুনানী শেষে আংশিক মঞ্জুর করে চার্জশীট গ্রহণ করেন। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশে  আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটির পর একটি মিথ্যা মামলা করে বিএনপি। এই আসামিরা চার্জশীট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। আমরা একই আদালতে আসামিদের পক্ষে আবার জামিনের আবেদন করব।’

তিনি বলেন, ‘এই মামলায় আমতলীর পৌর মেয়রসহ ৬ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনা দেখিয়ে অপর এক বিএনপি নেতা এই আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা করে। সেই মামলা পুলিশ ফাইনাল দেয়।’

বাদির পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. ইসরাত হোসাইন সুমন বলেন, পুলিশ সঠিকভাবে চার্জশীট দেয়নি। আমরা নারাজি দিয়েছিলাম। আদালত গ্রহণ করেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here