গোপালগঞ্জে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

0

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ভালবেসে বিয়ে করার ৪৯ দিন পর কলেজছাত্রী শান্তা ইসলামের (২২) মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ ওহিদ ফকিরের মেয়ে শান্তা ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময়। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শান্তা ইসলাম সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। ছেলে রিয়াজুল ইসলাম মাদারীপুর জেলার শিবচর পল্লী বিদ্যুতে চাকরি করেন।

শান্তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, শান্তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন। এ ব্যাপারে শান্তার স্বামী রিয়াজুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার এসআই সজিব জনান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটা কি আত্মহত্যা না হত্যা এবং সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here