ঈদের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, ঝুলন্ত সেতু, তারেং, রিছাং ঝর্ণা, মায়াবিনী লেক, দেবতা পুকুর, পানছড়ি অরণ্য কুটিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
নয়নাভিরাম পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ডা. এটি.এম তারেক জানান, ‘আমি আমার মা, ভাই-বোনদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে এসেছি। শৈশব কেটেছে খাগড়াছড়িতে, তাই সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে এবং আধুনিক সাজে সজ্জিত পর্যটন স্পটগুলো ঘুরতে এসেছি। এবারের ঈদ বেশ ভালোই কেটেছে এখানে।’
ঘুরতে আসা দুই বোন মনি ও মিলি জানান, ‘আমরা এখন স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকি। পুরনো স্মৃতিচারণ করতে খাগড়াছড়িতে ছুটে আসি। পাশাপাশি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছি। খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে।’
একাধিক পর্যটক জানান, ‘আমরা এখানে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরেছি। সবগুলোই বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আলুটিলার অসাধারণ ভিউ। এখানকার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রই মুগ্ধ করার মতো।’
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা জানান, ‘পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়ায় সংশ্লিষ্টরা খুশি। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভিড় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের খাগড়াছড়ির উপ-পরিদর্শক নিশাত রায় জানান, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা তিন স্তরের টহল দিচ্ছি। দুর্গম এলাকায় কেউ সমস্যায় পড়লে ৯৯৯-এ ফোন করলেই দ্রুত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
পর্যটকদের ভিড়ে হোটেল-মোটেলে রুম সংকট
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বাড়তি সমাগমের ফলে খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেলগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। অনেকেই অগ্রিম বুকিং না থাকায় রুম না পেয়ে দিনে ঘুরে রাতেই ফিরে যাচ্ছেন।
খাগড়াছড়ির পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন এবারের ঈদে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক হয়েছে। স্থানীয় দোকানগুলোতে বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী টেক্সটাইল সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ। পর্যটন শিল্পের বিকাশে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।