বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগে বড় ধাক্কা খেল আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক লিওনেল মেসির পাশাপাশি তারা হারাল পাওলো দিবালা, গনসালো মন্তিয়েল ও জিওভানি লো সেলসোকে। চোটের জন্য আগে থেকেই নেই ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেস।
রোমার হয়ে ভালো খেলে প্রাথমিক দলে ফিরেছিলেন দিবালা। ইতিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে কাইয়ারির বিপক্ষে খেলার সময় পেশিতে চোট পান বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড। চোটের জন্য প্রায়ই মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে দিবালাকে। জাতীয় দলের হয়ে একের পর এক ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ডিফেন্ডার মার্তিসেন লম্বা সময়ের জন্যই ছিটকে গেছেন। প্রাথমিক দলেও ছিলেন না তিনি।
প্রাথমিক দল থেকে চোটের জন্য ছিটকে গেছেন মন্তিয়েল। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে টাইব্রেকারে এই ডিফেন্ডারের গোলেই নিশ্চিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার শিরোপা। শারীরিক সমস্যার জন্য নেই মিডফিল্ডার লো সেলসো। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বাছাই পর্বের দুই ম্যাচের জন্য সোমবার ২৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়েছেন আলেহান্দ্রো গার্নাচো, ক্লাউদিও এচেভেরি, ফ্রান্সিসকো ওর্তেগা। টিকে গেছেন মাক্সিমো পেরোনে, বেনহামিন দমিনগেস, সান্তিয়াগো কাস্ত্রো ও জুলিয়ানো সিমেওনে।
বাংলাদেশ সময় আগামী শনিবার ভোরে উরুগুয়ের মাঠে খেলবে আর্জেন্টিনা। তিন দিন পর ঘরের মাঠে লড়াই ব্রাজিলের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচ জিতলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপে নিশ্চিত হতে পারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খেলা। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উরুগুয়ে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা দল:
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা) ওয়াল্তার বেনিতেস (পিএসভি আইন্দহোভেন), জেরোনিমো রুলি (অলিম্পিক মার্সেই)
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মোলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), হুয়ান ফয়থ (ভিয়ারেয়াল), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), হেরমান পেস্সেইয়া (রিভার প্লেট), লিওনার্দো বেলার্দি (অলিম্পিক মার্সেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), ফাকুন্দো মেদিনা (লঁস), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)
মিডফিল্ডার: লেয়ান্দ্রো পারেদেস (রোমা), এন্সো ফের্নান্দেস (চেলসি), রদ্রিগো দে পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), এসেকিয়েল পালাসিওস (বায়ার লেভারকুজেন), আলেক্সিস মাক আলিস্তের (লিভারপুল), মাক্সিমো পেরোন (কোমো), জুলিয়ানো সিমেওনে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), বেনঞ্জামিন দমিনগেস (বোলোনিয়া), তিয়াগো আলমাদা (লিঁও), নিকোলাস পাস (কোমো)
ফরোয়ার্ড: নিকোলাস গনসালেস (ইউভেন্তুস), আনহেল কোররেয়া (আতলেতিকো মাদ্রিদ), হুলিয়ান আলভারেস (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), সান্তিয়াগো কাস্ত্রো (বোলোনিয়া)।