ফুরফুরা শরীফে দাওয়াত-এ-ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার হুগলি জেলার জঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত ফুরফুরা দরবার শরীফ ভবনের মুসাফিরখানায় ইফতারে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারসহ মুসলিম ধর্মগুরুরা।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ফুরফুরা শরীফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটি মমতার তৃতীয় সফর। এর আগে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ফুরফুরা শরীফ পরিদর্শন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে গত দুইদিন ধরেই তাকে নিশানা করে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ ছিলো ‘ভোট ব্যাংক গোছাতেই মুখ্যমন্ত্রী ফুরফুরা যাচ্ছেন। উনি প্রতিবার বিধানসভা ভোটের আগে ফুরফুরায় যান। ২০১৬ সালেই গিয়েছিলেন। এখনই ভোট এসেছে, তাই ফের তাকে ফুরফুরায় যেতে হবে।’
শুভেন্দুর ওই নিশানার প্রেক্ষিতেই এদিনের ইফতারের শুরুতে মমতা বলেন, ‘মুসলিম ধর্ম স্থানে এলেই আমাকে নিয়ে কেন প্রশ্ন ওঠে? আমি তো সব ধর্ম স্থানেই যাই। আমি যখন দুর্গাপুজো করি বা কালী পুজো করি তখন তো এই প্রশ্ন করেন না? আমি খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, আমি ঈদ মোবারকেও যাই, আবার নিজে ইফতার করি। আবার পাঞ্জাবীদের গুরুদ্বারে যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া নাচেও যাই, দোল পূর্ণিমাতেও যাই। আমি মনে করি বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি।’
সকল ধর্মালম্বী মানুষদের মঙ্গল কামনা করে মমতা বলেন, ‘আমি আল্লাহতালার কাছে দোয়া করব রমজান মাসে তিনি যেন সকলের রোজা কবুল করেন। আমি সকলের দোয়া করব সকলে যেন শান্তিতে থাকেন। সম্প্রতি, শান্তি, ঐক্য – সকলকে ভালো রাখার জন্য এটাই আমার বার্তা।’
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মুসলিম ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের জন্য পলিটেকনিক কলেজ, ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী।