কক্সবাজার শহরে ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার আট ঘন্টা ব্যবধানে জড়িত তিন সহোদর সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাসহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা সকলেই ইজিবাইক চালক এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা ইজিবাইক চালক পেশার আড়ালে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত। সোমবার বিকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
আটকরা হল, কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হালিমা পাড়ার মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মাছনের ছেলে মো. মোস্তফা, মো. আনোয়ার ও মো. ইমরান এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. করিম। ঘটনায় নিহত মুজিবুর রহমান (৩৫) কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হালিমা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে।
লে. কর্নেল কামরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে কিস্তিতে নেওয়া মো. আনোয়ারের মালিকানাধীন একটি ইজিবাইক চুরির ঘটনা ঘটে। আর সেই ইজিবাইকটি মুজিবুর রহমান চোর চক্রের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে আনে। পরে গাড়ীটি ওই টাকাগুলো পরিশোধের শর্তে আনোয়ার কাছে হস্তান্তর করে। টাকাগুলো পরিশোধ না করায় আনোয়ারকে মুজিবুর রহমান চাপ প্রয়োগ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বউবাজার এলাকায় জনৈক ইয়াছিন আরাফাতের ইজিবাইকের গ্যারেজে পূর্ব শত্রুতার জেরে মুজিবুর রহমানকে অতর্কিত অবস্থায় মোস্তফা, আনোয়ার ও ইমরানসহ আরও কয়েকজন মিলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে হামলাকারিদের উপর্যুপরি কয়েকটি ছুরিকাঘাতে মুজিবুর রহমান আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আসামিরা সকলে পেশায় ইজিবাইক চালক এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা ইজিবাইক চালক পেশার আড়ালে পর্যটন শহরে ছিনতাই ও অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এসব অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।