সাইবার প্রতারণা শিকার হয়ে ৬৩ হাজা ডলার বা ৫৫ লাখ রুপি খুইয়েছে ভারতের সরকারি মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল)। গতকাল রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভারতের আইটি আইনের অধীনে মামলা করেছেন এইচএএল কানপুরের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার অশোক কুমার সিং।
২০২৪ সালের মে মাসে মার্কিন সংস্থা পিএস ইঞ্জিনিয়ারিং ইনকর্পোরেটেড–এর সঙ্গে তিনটি যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ কেনার বিষয়ে যোগাযোগ করেছিল এইচএএল। দু’পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছিল ই–মেইলে। হঠাৎ দুই পক্ষের আলোচনার মধ্যে ঢুকে পড়ে অন্য আরেকটি ই–মেইল। তৃতীয় ই–মেইলটির নাম মার্কিন ওই সংস্থাটির ই–মেইল ঠিকানার অনুরূপ, পার্থক্য ছিল কেবল একটি ‘ই’ (e), যা এইচএএল–এর নজর এড়িয়ে যায়।
পরে, ওই ফেইক ই–মেইলের দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠিয়ে দেয় এইচএএল। এরপর এয়ারক্রাফটের যন্ত্রাংশ না আসায় আসল মার্কিন সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো অর্থ পায়নি বলে জানায়। এরপরই এইচএএল বুঝতে পারে যে তারা আসলে ভুল অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠিয়েছে!
এই ঘটনার তদন্তে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলে, ‘এইচএএল বৈধ ই–মেলের মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল। কিন্তু পরে, আসল ই–মেলটি একটি ভুয়া ই–মেইল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। দুটি আইডির মধ্যে পার্থক্য ছিল মাত্র একটি অক্ষর। এই সামান্য ভুলটি চোখ এড়িয়ে যাওয়ায়, এইচএএল ভুল অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠিয়ে দেয়, সেটি আসল বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট ছিল না।’
এই প্রতারণার পেছনে কোনো মার্কিন সংস্থা নাকি ভারতীয় কোনো প্রতারক চক্রের হাত আছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি