জাতীয় দলে খেলার জন্য বাংলাদেশে আসছেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন হামজা চৌধুরী।
রবিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে হামজার দেশে আসার একটি ছবি পোস্ট করেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন হামজা।
বাফুফের সঙ্গে হামজার আলোচনা অনুযায়ী বিমানের বিজনেস ক্লাস আসনে যাতায়াত করার কথা। সেই অনুযায়ী হামজা বিজনেস ক্লাসেই ম্যানচেস্টার থেকে রওনা হয়েছেন। জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে আজই পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চুক্তি হয়েছে ইউসিবি ব্যাংকের। চুক্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই হামজার আগমনের ছবিতে বাফুফে ইউসিবি ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করেছে। আজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল অবশ্য হামজার আগমনে ইউসিবি সহায়তা কথা জানিয়েছিলেন।
হবিগঞ্জের বাহুবল গ্রামে হামজার শেকড়। তাই ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা এই ফুটবলার ঢাকা না এসে সরাসরি সিলেট আসবেন। সিলেট থেকে সড়কপথে হবিগঞ্জ রওনা হবেন সপরিবারে। সিলেট এয়ারপোর্টে বাফুফের চার নির্বাহী সদস্য হামজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। হামজাকে বরণের জন্য হবিগঞ্জবাসী মুখিয়ে রয়েছেন। বাফুফে সিলেট ও হবিগঞ্জ উভয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে হামজার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই তারকার আগমনে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাফুফে। জানা গেছে, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে হামজার জন্য আলাদা সংবর্ধনার আয়োজন না করলেও সিলেটে অবতরণ থেকে শুরু করে ঢাকায় আসা এবং ভারতে যাত্রা পর্যন্ত তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে বাফুফে।
হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী আগেভাগেই দেশে এসেছেন। তিনি হবিগঞ্জে বাড়িতে অবস্থান করছেন। হামজার সঙ্গে একই ফ্লাইটে তার স্ত্রী, ৩ সন্তান ও মায়ের আসার কথা। বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ হামজার পরিবারও উপভোগ করতে মুখিয়ে আছেন।
হবিগঞ্জে দু’দিন থেকে ১৯ মার্চ দুপুরে ঢাকায় টিম হোটেলে যোগ দেবেন হামজা। ওই দিন দুপুরে অফিশিয়াল প্রেস কনফারেন্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তিনি। তার আগে সকালে দলীয় ফটোসেশন হবে। এরপর বিকাল বা সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামার কথাও রয়েছে হামজার।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেখানে হামজার সফরসঙ্গী হতে পারেন পরিবার ও নিকটাত্মীয়সহ ১৬ থেকে ১৭ জন।