ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান তার পরিবর্তে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গেছে। আমেরিকার পডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে এমনটাই বলেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগেও করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
মোদির আমেরিকা সফরের সময়ে এই সাক্ষাৎকারটি নেন ফ্রিডম্যান। প্রায় তিন ঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারটি রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মোদী জানান, ক্ষমতায় আসার সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সময়ে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। লক্ষ্য ছিল, যাতে নতুন ভাবে সম্পর্ক শুরু করা যায়। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে ‘বিরোধিতা’ এবং ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মিলেছে বলে জানান মোদী।
তবে মোদির বিশ্বাস পাকিস্তানের আমজনতাও শান্তির পক্ষে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চান। কারণ, তাঁরাও এই বিবাদ এবং অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, এমনকি নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।”
মোদি জানান, ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ করতে তাঁর প্রথম উদ্যোগ ছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়ে। ওই সময়ে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “এটি ছিল (সম্পর্ক মসৃণ করার) সদিচ্ছার একটি ইঙ্গিত।” কূটনৈতিক স্তরে এমন ইঙ্গিত গত কয়েক দশকের মধ্যে আর দেখা যায়নি বলে দাবি মোদির। শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করলেও ভারত ‘কাঙ্ক্ষিত ফল’ পায়নি বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানান প্রধানমন্ত্রী।