কিউইদের বোলিং তোপে ৯১ রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান

0

কিউইদের বোলিং তোপে পড়ে টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৯১ রানেই গুটিয়ে গেল পাকিস্তান। রবিবার (১৬ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভার চার বলে সবকয়টি উইকেট হারায় সফরকারীরা।

এদিন মাত্র ১১ রানেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। সেই বিপর্যয় সামলাতে প্রয়োজন ছিল বড় জুটি, ঘুরে দাঁড়ানো কোনো ব্যক্তিগত ইনিংস। কিন্তু খুশদিল শাহ (৩২), সালমান আগা (১৮) ও জাহানদাদ খান (১৭) ছাড়া পাকিস্তানের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি।

এদিকে, নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ নিয়ে পথচলা শুরু করেছে। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের অধ্যায় শেষ, লকি ফার্গুসনও ছিলেন না ইনজুরির কারণে। ফলে একেবারে তারুণ্যে গড়া বোলিং বিভাগ নিয়েও কিউইরা ‘মিনি বিশ্বকাপের’ ফাইনাল খেলেছে। যদিও চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও সেই তরুণ বোলাররাই ছিল দারুণ সপ্রতিভ। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন জ্যাকব ডাফি, কাইল জেমিসনও ৩ উইকেট শিকার করেন।

টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য এরচেয়েও কম রানে অলআউটের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা সর্বনিম্ন ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সে হিসাবে তাদের আজকের সংগ্রহ ছিল পঞ্চম সর্বনিম্ন, তবে কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম। এদিন পাকিস্তান রানের খাতা খোলার আগেই হারায় ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (০) ও হাসান নেওয়াজের (০) উইকেট। দলীয় খাতায় ১ রান যোগ হতেই আউট ইরফান খানও। এই সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন অলরাউন্ডার শাদাব খান। যা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল বেশ। তিনিও (৩) ফিরলেন দলীয় ১১ রানে।

এরপর পাকিস্তানকে বিপদ থেকে টেনে তোলার স্বপ্ন দেখান সালমান আগা-খুশদিল জুটি। কিন্তু তারা বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারেনি। তাদের জুটিতে আসে ৪৬ রান। ২০ বলে ১৮ রানে আউট অধিনায়ক সালমান। ভিন্ন কিছুর আভাস দিয়েও খুশদিল ফেরেন ৩০ বলে ৩২ রান করে। এ ছাড়া জাহানদাদ শেষদিকে ১৭ রান করলে পাকিস্তানের দলীয় শতক পেরোবে মনে হচ্ছিল। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। দুই বল বাকি থাকতেই ৯১ রানে অলআউট হয়ে পাকিস্তান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here