ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ৪৩ দেশ

0

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা প্রদানের কড়াকড়ি ও সংশোধিত হওয়ার জন্যে ৬০ দিনের আল্টিমেটাম-এই ৩ ক্যাটাগরিরর ৪৩ দেশের মধ্যে নেই বাংলাদেশ। অর্থাৎ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগের মেয়াদেও যেমন ট্রাম্পের ট্র্যাভেল ব্যানের আওতায় পড়েনি, এবারও একই অবস্থানে রয়েছে বলে হোয়াইট হাউজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

১৪ মার্চ নিউইয়র্ক টাইমসও একই তথ্য জানতে পেরেছে বলে প্রকাশিত এক সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। ২১ মার্চে অথবা তার দুয়েকদিন পর ট্র্যাভেল ব্যান সম্পর্কে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত কিংবা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত কিংবা ভয়ংকর অপরাধে জড়িত রাষ্ট্রসমূহের একটি তালিকা তৈরি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই তালিকার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা দফতর। তার ভিত্তিরে যুক্তরাষ্ট্রে নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় ঢুকতেই পারবে না এমন দেশের খসরা তালিকায় রয়েছে ১১ দেশ। 

লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, নর্থ কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন। ভিসা ইস্যুতে কড়াকড়ি আরোপের জন্যে ‘অরেঞ্জ’ গ্রুপের দেশগুলো হচ্ছে  বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাউস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিয়ন, সাউথ সুদান এবং তার্কমেনিস্তান। ৬০ দিনের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশগুলোর সরকার নিরাপত্তার তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে’ এসব দেশের নাগরিকদের ভিসা আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনার অভিপ্রায়ে ‘ইয়েলো’ গ্রুপের দেশগুলো হচ্ছে এঙ্গোলা, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, বেনিন, বারকিনা ফাসো, ক্যাম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, ক্যাপ ভার্দে, চাদ, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডমিনিকা, লাইবেরিয়া, মালাওই, মালি, মরিশাস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁও টুমে অ্যান্ড প্রিন্সিপি, ভ্যানুয়াতো এবং জিম্বাবুয়ে। 

এই তালিকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডেস্কে যাবার আগে আরো খতিয়ে দেখা হবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক। সে সময়ে হয়তো কোনটি বাদ যেতে পারে এবং নতুন কোন দেশের নাম যোগও হতে পারে। সবটাই হবে প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক পলিসি আলোকে। 

জানা গেছে, পাকিস্তান, রাশিয়া, মিয়ানমার, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাউস, সিয়েরা লিয়ন, সাউথ সুদান এবং তুর্কমেনিস্তানের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসা পেতে সশরীরে কন্স্যুলেটে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইতোমধ্যেই যারা ভিসা পেয়েছেন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসেনি, তাদের ভিসা বহাল থাকবে নাকি বাতিল বলে গণ্য হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি, গ্রিনকার্ডধারীরা যদি ঐসব দেশে অবস্থান করে থাকেন, তাদের অবস্থা কী হবে সেটিও স্পষ্ট করা হয়নি এখোন পর্যন্ত। 

২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের দিনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট চিহ্নিত করতে হবে কোন কোন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে হুমকিস্বরুপ, সেগুলোর নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রে আসার যোগ্য হবে কিনা তা স্থির করতে হবে। এজন্যে প্রেসিডেন্ট ৬০ দিনের সময় দিয়েছেন। সেই সময়সীমা ২০ মার্চ ফুরিয়ে যাবে। এজন্য কর্মকর্তারা ধারণা করছেন ২১ জানুয়ারি ট্র্যাভেল ব্যানের নির্দেশ জারি হতে পারে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here