চূড়ান্ত শুনানির প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ববর্তী আদেশ অনুযায়ী অবৈধ ও নন-ইমিগ্র্যান্টদের গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুকে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রদান না করার বিধিটি অন্তত ২৮ স্টেটে (রিপাবলিকান শাসিত) অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এ আহবান জানানো হয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের দিনই আরো অনেক আদেশের সাথে ট্রাম্প এ আদেশও জারির পরই আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এ আবেদন করেছিলেন ডেমক্র্যাট শাসিত ২২ স্টেটের এটর্নি জেনারেলরা। তারা উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দশতম সংশোধনীতে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে জন্মগ্রহণকারিরা আপনা-আপনি সিটিজেন হিসেবে গণ্য হয়। গড়পড়তা প্রতিবছর দেড় লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে অবৈধ অভিবাসী অথবা নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের গর্ভে।
১৮৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের পর রচিত এই বিধি পাল্টে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রেসিডেন্ট তার এখতিয়ার বহির্ভূত আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার অধ্যাপক আমান্ডা ফ্রস্ট এবং ইউএস সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতনামা এটর্নি মঈন চৌধুরী অভিন্ন ভাষায় আলাদাভাবে এ সংবাদদাতাকে বলেছেন, ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে জাতীয়ভিত্তিক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার পর যদি দলগতভাবে বিভক্ত করে একটি আইন চালু করা হয়, তাহলে গোটা দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী হবে। রিপাবলিকান শাসিত স্টেটসমূহের মহিলারা সন্তান জন্মদেয়ার জন্যে ডেমক্র্যাট স্টেটে পাড়ি জমাবেন-যা কখনো বারিত করা সম্ভব হবে না। একই দেশে দলগতভাবে কোন আইন বিভক্ত অবস্থায় কার্যকর হতে পারে না। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এই আদেশটি যথাযথভাবে কার্যকর করতে কংগ্রেসের সহযোগিতা চাইতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে সংবিধান সংশোধনের জন্যে-যা ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির একেবারেই নেই।