বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিনের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার ফয়লাহাট বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রামপাল উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী হালিম, সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, শেখ ফিরোজ কবির, আলতাফ হোসেন বাবু, মাহাতাব আলী মোড়ল, হাওলাদার জাহিদুল ইসলাম, তিতাস শেখ, শেখ আব্বাস আলী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মল্লিক জিয়াউল হক জিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাজী অজিয়ার রহমান, মো. আক্তারুল মোড়ল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা তরিকুল ইসলাম শোভন, পল্লব হোসাইন রাজু ও শেখ ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।
সমাবেশে রামপালের বিএনপি নেতারা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে স্বৈরাচারের দোসর খুলনা সিটির সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের দোসরদের সাথে নিয়ে চিংড়ি ঘের দখল, হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়ে উপজেলাজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ঝনঝনিয়া, চেয়ারম্যান মোড়, ভাগা ও রনসেন এলাকায় তিনি আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা-ভাঙচুরের নেতৃত্ব দেন। হামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহতসহ চিংড়ি ঘের ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এই হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তুহিনকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় দ্রুত কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিনসহ ২৮ জনের নামে বিএনপিকর্মী নজমল শেখ বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ আসামিদের আটকের চেষ্টা করছে।