ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। ইউক্রেন এই প্রস্তাবে সম্মতি জানালেও রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা মস্কোর হাতে।
সৌদি আরবে দীর্ঘ আলোচনা, আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরবের জেদ্দায় আট ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে পুনরায় সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের বিষয়েও সম্মত হয়। মার্কো রুবিও জানান, আমাদের প্রত্যাশা, রাশিয়ার জবাব ইতিবাচক হবে এবং শিগগিরই আমরা আলোচনার পরবর্তী ধাপে যেতে পারবো।
রাশিয়ার অবস্থান এখনো অনিশ্চিত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনা নিয়ে ইতিবাচক হলেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। পুতিন আগেই বলেছেন, ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার দাবি করা চারটি অঞ্চল পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায়, কোনো চুক্তি কার্যকর হবে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়া আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আলোচনার আনুষ্ঠানিক সারসংক্ষেপ শুনতে চায়। এরপরই তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করতে চান। এ বিষয়ে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ সপ্তাহে মস্কো সফরের পরিকল্পনা করেছেন।
বিশ্ব সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাশিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন ইতোমধ্যে চুক্তিতে পৌঁছেছে, এখন দেখার বিষয়—রাশিয়া কেমন প্রতিক্রিয়া জানায়। যদি রাশিয়া সম্মতি দেয়, তাহলে এই যুদ্ধের ভয়াবহতা কমতে পারে। তবে যদি মস্কো তাদের আগের অবস্থানে অটল থাকে, তাহলে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল